সেলিম মোর্শেদ রানাঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ৪৭ নম্বর হাটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সয়েদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের টিন, জানালা, লোহার রড দরজা, ও ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েক বস্তা বই বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১ মার্চ) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদুল ইসলাম বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অফিস সহকারী জাহিদের মাধ্যমে এসব মালামাল বিক্রয় করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কয়েক ভ্যান মালামাল ও বই বিনা অনুমতিতে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে গোপনে বিক্রি করছে । তারা জানতে চাইলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করা কিছু কাগজ দেখান, এবং সরকারী নিয়মানুযায়ী বিক্রয় হচ্ছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে একজন ভ্যান চালক বাবু (৩৫) বলেন, আমরা অশিক্ষিত লোক আমরা তো কিছু বুঝিনা, আমাদের ভাড়ায় এনেছে। কয়দিন নিয়েছে জানতে চাইলে, তিন দিনে ছয় ভ্যান নিয়েছে বলে জানান।
অন্যদিকে, পুরাতন মালামাল ব্যবসায়ী আমিন মোল্লা (৬০) বলেন, আমি পুরাতন মালামাল ক্রয় করি, আমরা গরিব মানুষ, অশিক্ষিত লোক, আমাদের তো কোনটা বৈধ কোনটা অবৈধ সেটা ধরার মতো ক্ষমতা নেই।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুজ্জামান মিয়া টুটুল ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ইতিপূর্বেও সরকারের দেওয়া স্লিপের এবং সরকারের দেওয়া অনুদানের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা জেনে সতর্ক করেছি, কিন্তু এবার আবার পুনরায় সরকারি মাল কিভাবে বিক্রয় করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত করে দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে সরকারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
এদিকে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের অভিভাবক কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন, ইতিপূর্বে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শাস্তি মূলক বদলি করা হয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সায়েদুল ইসলাম মুঠোফোনে বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ তিনিও মুঠো ফোনে বলেন , আমরা আজকের নেওয়া টিন ও কয়েক বস্তা বই উদ্ধার করছি । আজ ছুটির দিন আগামীকাল উনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, আমি ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে, শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।